পার্সটুডে- গত ২২ এপ্রিল ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী দেশটির আকাশে আরেকটি এমকিউ-নাইন ড্রোন ভূপাতিত করেছে। আমেরিকার সবচেয়ে বিখ্যাত ড্রোন এটি।
এমকিউ-নাইন রিপার মডেলের ড্রোনগুলো যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে দক্ষ ড্রোন হিসেবে পরিচিত এবং এটি ২০০৭ সাল থেকে দেশটির সামরিক বাহিনীতে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই ড্রোনটি লোহিত সাগর এবং ইয়েমেনি ভূখণ্ডে সামরিক অভিযানের সময় পর্যবেক্ষণ তৎপরতার প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে
পার্সটুডে'র তথ্য বলছে, এমকিউ-নাইন রিপার ড্রোনটি মার্কিন কোম্পানি জেনারেল অ্যাটমিক্স নির্মাণ করেছে এবং এর দাম প্রায় তিন কোটি ২০ লাখ ডলার। অবশ্য অন্য কোনো দেশ এই ড্রোনের ক্রেতা হলে প্রশিক্ষণ এবং অন্যান্য সহায়তাসহ এর বিক্রয় মূল্য ১০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
এই ড্রোনটি প্রায় এক টন ওজনের বিভিন্ন ধরণের ক্ষেপণাস্ত্র, বোমা ও গাইডেড রকেট বহন করতে সক্ষম। এছাড়া, এটিকে হামলা চলাকালে এবং আগে ও পরে পর্যবেক্ষণ কাজেও ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই এই অঞ্চলে রিপার ড্রোনের ব্যবহার দেখা গেছে। গাজায় পর্যবেক্ষণ চালাতেও যুক্তরাষ্ট্র এই ড্রোন ব্যবহার করেছিল বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
এই ড্রোনটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫০ হাজার ফুট উচ্চতায় একটানা ১৪ ঘণ্টারও বেশি সময় উড়তে পারে। এতে নানা ধরণের অস্ত্র ছাড়াও রয়েছে অত্যাধুনিক ক্যামেরা, সেন্সর ও রাডার। এ কারণেই এটি নজরদারি ও গোয়েন্দা অভিযানের জন্য খুবই কার্যকর।
এর ডানার দৈর্ঘ্য ৬৬ ফুট (২০ দশমিক ১২ মিটার)। এটি তিন হাজার ৯০০ পাউন্ড (এক হাজার ৭৬৮ কেজি) জ্বালানি বহন করতে পারে এবং এর সর্বোচ্চ গতিবেগ ২৪০ নট (ঘণ্টায় ৪৪৪ কিলোমিটার)।
ইয়েমেনি যুদ্ধের শুরু থেকে মার্কিন ও সৌদি ড্রোন ধ্বংসের প্রকাশিত ছবি পরীক্ষা করে দেখা গেছে, ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনীর বিমান প্রতিরক্ষা অস্ত্রের ধরণ ধীরে ধীরে উন্নত হয়েছে, এমনকি মার্কিন ড্রোনের উড্ডয়নের সময় সীমা বৃদ্ধি করেও ইয়েমেনি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থেকে এগুলোকে রক্ষা করা সম্ভব হয় নি।
ফিলিস্তিনের নির্যাতিত জনগণের সমর্থনে ইয়েমেনিরা অভিযান শুরু করার পর থেকে এখন পর্যন্ত ইয়েমেনের আকাশে ২২টি এমকিউ-নাইন ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে। এর ফলে ড্রোন খাতেই আমেরিকার ক্ষতি হয়েছে ৮০ কোটি ডলার। মার্কিন আগ্রাসন অব্যাহত থাকলে তাদের ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে এতে কোনো সন্দেহ নেই।#
342/
Your Comment